রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রাম থেকে লালমনিরহাটে তুলে এনে কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, থানায় মামলা

কুড়িগ্রাম থেকে লালমনিরহাটে তুলে এনে কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, থানায় মামলা

জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: কুড়িগ্রাম থেকে এক কিশোরীকে লালমনিরহাটে তুলে এনে নিজ বাড়িতে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং ফজলুল হক (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট থানার ওসি তদন্ত বাদল কুমার মণ্ডল সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করার পর রাজারহাট থানা পুলিশের হেফাজতে দেয় সেনাবাহিনী।

গ্রেফতার ফজলুল হক লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউপি’র চরগোকুন্ডা এলাকার টেংরা মামুদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার ফজলুল হক গত ২ মার্চ (রবিবার) তার সহযোগীকে সাথে নিয়ে কুড়িগ্রাম রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত মধ্য সুলতান মাহমুদ গ্রামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিজ বাড়িতে আনেন। সেখানে ওই কিশরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষন করেন। এসময় সে ভুক্তভোগীকে ধর্ষনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। ভুক্তভোগীকে আটকের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়াসহ লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনী বিষয়টি জানতে পারে।

কিশোরী অপহরনের বিষয়টি সেনাবাহিনী জানতে পারলে বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সেনাক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফজলুলের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও দেশীয় অস্ত্র ছুরি, দা, কাচি, এসএস পাইপ ইত্যাদি উদ্ধার করেন। এরপর সেনাবাহিনী সদস্যরা লালমনিরহাট থানা পুলিশকে অবগত করার পর ভুক্তভোগীকে রাজারহাট থানায় হস্তান্তর করেন।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, অনেক দিন থেকে ফজলু ও তার স্ত্রী তাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত ফজলু মার্চের ২ তারিখে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে ১৮ দিন আটকে রেখে তাকে প্রতিদিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের ছবি ও ভিডিও ধারন করে রাখে। বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করলে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় অভিযুক্ত ফজলু।

লালমনিরহাট থানার ওসি তদন্ত বাদল কুমার মণ্ডল বলেন, রাজারহাটের ওসি স্যার আমাদের ওসি স্যারকে কল করেছিলেন। যেহেতু ভুক্তভোগী রাজারহাটের তাই সেখানে মামলা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, মেয়েটি হেফাজতে আছেন। এ বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com